৫০ বছরের পথ চলায় কৃষিখাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ-স্বনির্ভর বদলে যাওয়া এক দেশ। গেল ৫ দশকে নীরব বিপ্লব ঘটেছে গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষি খাতে। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, যে কোন দুর্যোগে টিকে থাকার সবচেয়ে বড় নির্ভরতা কৃষি খাত। তাই কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং টেকসই করতে কৃষিভিত্তিক শিল্প ও কর্মসংস্থান নিশ্চত করার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
গত পাঁচ দশকের বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটেছে গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে। কৃষির হাত ধরে কেবল গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার নয়; একসময়ের তলাবিহীন ঝুঁড়ি এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
হিসাব বলছে, ধান উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৪র্থ। কেবল ধান উৎপাদন নয়; শাকসবজি থেকে ফলমুল কিংবা মাছচাষ। কৃষির এমন প্রায় সবখাতেই বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। কৃষিশুমারি ২০১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৪৭ শতাংশ পরিবার এখনো কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই স্বাধীনতা পরবর্তী কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে শিল্পের আধিপত্য বাড়লেও এখনো মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে এ খাতের অবদান ১৩.৬ শতাংশ।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় যখন নতুন করে বিপর্যস্ত হচ্ছে বিভিন্ন শিল্প ও সেবা খাত, তখন কৃষি হতে পারে আগামী দিনের বড় নির্ভরতা এমন মত অর্থনীতি বিশ্লেষকদের। এক্ষেত্রে কৃষি ভিত্তিক শিল্প এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
বিবিএসের করা শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, দেশের মোট শ্রম শক্তির ৪০.৬ শতাংশ এখনো কৃষিতেই নিয়োজিত।